কুরআন শরীফে বলা হয়েছে-
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
অর্থাৎ, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য মৃত জন্তু, রক্ত, শুকরের গোশত ও আল্লাহ তায়ালার নামে ব্যতিত অন্যের নামে জবেহকৃত জন্তুকে হারাম করেছেন। আর যে ব্যক্তি নাফরমানী ও সীমালংঘন না করে বাধ্য হয় (জীবন বাচানোর তাগিদে প্রয়োজন মাফিক আহার করে) তার কোন গুনাহ নেই। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা:১৭৩)
মিশরের অধিকাংশ মসজিদে তারাবীহ নামাজ অর্ধেক পড়ার পর বাকী অর্ধেক শুরু করার আগে ১০ কিংবা ১৫ মিনিট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন আলেমগণ।
গত কয়েকদিন আগে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্রদের ছাত্রাবাস "ফরেন ইসলামিক স্টুডেন্ট সিটি" তে ১০ রাকাত তারাবীহ নামাজের পর বাকী ১০ রাকাতের আগে আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডক্টর আলোচনা করলেন উসুলে ফিকহের (ফিকহের ব্যাকরণ শাস্ত্র) উপর। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি কুরআনের একটি মিরাকেল তুলে ধরলেন।
তিনি বললেন: জনৈক বিজ্ঞানী কুরআন শরীফের উপরোক্ত আয়াত পড়ে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই বলে যে, মৃত জন্তুতে প্রচুর পরিমাণে রোগের জীবানু থাকে। কিন্তু, ইসলাম অনোন্যপায় ব্যক্তিকে তা খাওয়ার অনুমতি দিল কেন? সে তো তা খেলে মারা যাবে? ইসলামের এ সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি।
পরবর্তীতে উক্ত বিজ্ঞানী মৃত জন্তুর গোশত নিয়ে একজন সাধারণ ব্যক্তির পাকস্থলির রস উক্ত গোশতের উপর রাখলেন। দেখলেন যে, গোশত জীবানুতে ভরপুর হয়ে আছে। তারপর যখন ক্ষুধায় মরোণাপন্ন ব্যক্তির পাকস্থলির রস নিয়ে মৃত জন্তুর গোশতের উপর রাখলেন তখনই তার আশ্চর্য হওয়ার পালা শুরু হল। তিনি দেখলেন মৃত জন্তুর উক্ত গোশতের ভিতরে আর কোন জীবানু অবশিষ্ট্য নেই। উক্ত রসের দ্বারা সমস্ত জীবানু ধ্বংস হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানী পড়েছেন : "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"।
একটিমাত্র আয়াতের গবেষণার দ্বারা তিনি ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন।